দুষ্টুমিতে ভরা।চঞ্চলমতি।কৌতুহলী।এইভাবেই রুমা আখতার একজন শিশু হিসেবে ঢাকা, বাংলাদেশে বড় হয়ে ওঠার সময় নিজেকে বর্ণনা করেন।
চিড়িয়াখানা যাওয়ার জন্য ক্লাস ফাঁকি দেওয়া। সবসসময় তার ব্যস্ত এবং অনুসন্ধিৎসু মনকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টায়। এবং সবকিছু, বিশেষকরে জমকালো বুনন এবং পোশাক সম্পর্কে কৌতুহলী তিনি তার সম্প্রদায়ে মহিলাদের অবসর সময়ে সেলাই করতে দেখতেন। “আমার মা সবসময় আমাকে নতুন জিনিস শিখতে উৎসাহিত করতেন এবং আমি দর্জি ও সেলাই সম্পর্কে কৌতুহলী ছিলাম। আমি পাড়ার কাকিমা/খালাদের নতুন কোনোকিছু সেলাই করতে দেখলে, আমি তাদের সাথে বসে থাকতাম এবং তারা কী করছে তা না বলা পর্যন্ত সেখান থেকে নড়তাম না। আমি সত্যিই তাদের বিরক্ত করতাম!” রুমা স্মৃতিচারণ করেন।
রুমা তার বড় দিদি/আপা, যে সেলাই শিখেছিল, তাকে এই কারুকলাটি আরও ভালোভাবে শেখানোর জন্য অনুনয়-বিনয় করেন। তিনি নরম হন, এবং রুমার দর্জির যাত্রা শুরু হয়। অবশেষে, তিনি তার প্রথম পোশাক তৈরি করেন: আকাশী রঙের একটি থ্রি-পিস ড্রেস। এমনকি রুমার বাবা তার জন্য একটি সেলাইয়ের মেশিনও কিনে আনেন যাতে তিনি আরও উন্নত কৌশলগুলি শিখতে পারেন।
রুমা বড় হয়ে ওঠার সাথে সাথে, তিনি তার জীবনে অন্যান্য বহু মহিলাদের পথ অনুসরণ করেছিলেন। তিনি স্কুলে পড়া বন্ধ করেন, বিয়ে করেন, একটি শিশুর জন্ম দেন। দর্জির কাজ করার আর সময় পাননি।
ততদিন পর্যন্ত যখন তার এটি অত্যন্ত প্রয়োজনে আসে।

রুমার সম্প্রদায়ে তার প্রশিক্ষণকারীদের সাথে তিনি (মাঝখানে)

রুমা ও তার মেয়ে ঢাকা, বাংলাদেশে বাড়িতে
জীবিকার জন্য সেলাই করা
বিয়ের বহু বছর পরে, রুমা তার স্বামীর থেকে আলাদা হয়ে যান। একজন নতুন সিঙ্গেল বা একক মা হিসেবে, তিনি উভয়সঙ্কটে পড়েন: কীভাবে তিনি তার অল্পবয়সী মেয়ের দেখাশোনা করবেন?
তিনি একজন পোশাক মেশিন চালিকার কাজ পান এবং কারখানায় কর্মরত তার পরিবারের প্রথম মহিলা হয়ে ওঠেন। তিনি একটি সেলাইয়ের মেশিন দিয়ে শার্টে পকেট লাগাতেন। তিনি তার পরিবারকে সমর্থন করার জন্য যথেষ্ট উপার্জন করছিলেন—এবং তিনি আবারও সেলাই করছিলেন। “আমার পাড়ার অনেক মহিলাও কারখানায় কাজ করতেন এবং আমরা একসাথে কাজ করা উপভোগ করতাম। কাজে ব্যস্ততা ছিল, কিন্তু আমি তা পছন্দ করতাম। এবং আমি একবার মনোযোগ দিয়ে ফেললে, বাকি দুনিয়ার আর কোনো অস্তিত্বই থাকত না।
একদিন, রুমা একটি গুজব শুনতে পেলেন।
শশশ, তুমি কী শুনেছ?
কী শুনেছি?
আজ কারখানায় একটা নতুন মেশিন এসেছে।
তাই, আর?
সেটা সেলাই করতে পারে…একটি কম্পিউটার ব্যবহার করে।
“যখনই কারখানা নতুন মেশিন পায় যাতে প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হয়, তখনই পুরুষদের সেটি চালানোর জন্য বেছে নেওয়া হয়। মহিলাদের সুযোগ দেওয়া হয় না। আমি ভয় পেয়েছিলাম। আমি জানতাম না আমার চাকরিটা আর থাকবে কিনা—তাহলে কীভাবে আমি পরিবারের দেখাশোনা করা চালিয়ে যাব?”
আমাদের পোশাক কোথা থেকে আসে?
খুব সম্ভবত, সেগুলো বাংলাদেশ থেকে আসে।
এটি বিশ্বের অন্যতম অগ্রণী বস্ত্র বয়ন রপ্তানিকারক এবং বিশ্বব্যাপী বস্ত্র বয়ন শিল্প যাতে আনুমানিক 75 মিলিয়ন কর্মী কাজ করেন তাতে একটি প্রধান অংশগ্রহণকারী।

এই কর্মশক্তির, প্রায় ৮০ শতাংশ হলেন মহিলা। কিন্তু, সিংহভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও, মহিলা পোশাক কর্মীদের প্রায়ই প্রাথমিক এন্ট্রি-লেভেলের পদে সরানো হয়। সুতা কাটার কাজ। বোতাম লাগানোর কাজ। সেলাইয়ের মেশিন চালানোর কাজ। পকেট জোড়ার কাজ। মহিলারা একটি গুরুত্বপূর্ণ মানবিক স্পর্শের সাথে আমাদের পোশাক রঞ্জিত করেন। তবুও, স্বয়ংক্রিয়তার ফলে তারাই প্রতিস্থাপিত হওয়ার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছেন।
পরের কয়েক বছর ধরে, ৫ কোটিরও বেশি মানুষ প্রযুক্তির কাছে তাদের চাকরি হারাবেন বলে হিসাব করা হয়তাদের বেশিরভাগই হলেন মহিলা। রুমার মতো।

একটি কারখানার শহরের উত্থান ও পতন
সারা ক্রাসলি গত দশ বছর ধরে বাংলাদেশে কাজ করছেন, কিন্তু তিনি বড় হয়েছেন দুনিয়ার অপর প্রান্তে—অ্যালেনটাউন, পেনসিলিভেনিয়াতে, যেখানে কারখানায় কাজ করার পরম্পরা তার ভূদৃশ্যকে বেষ্টনকারী লেহাই নদীর মতোই গভীর। “অ্যালেনটাউন ছিল একটি ছোট কারখানার শহর। আমাদের ওখানে ছিল ইস্পাতের কারখানা, পোশাকের কারখানা, ম্যাক ট্রাক, ও ওয়েস্টার্ন ইলেকট্রিক। আমার ছোটবেলায় পরিত্যক্ত রেশমের কারখানার ছায়াতে খেলা এবং তাকে সময়ে নিশ্চল হয়ে থাকা একটি রূপকথার শহর বলে ভাবার কথা মনে পড়ে,” তিনি বলেন।
সারার দাদু বেথেলহেম স্টীল কারখানায়, যেখানে তার বাবা ও কাকাও তাদের যৌবনের গ্রীষ্মকালগুলিতে কাজ করেছিলেন, সেখানে ৪২ বছর ধরে ব্লাস্ট ফার্নেস চালানোর কাজ করেছিলেন। কিন্তু বিশ্বায়ন এবং স্বয়ংক্রিয়তা চাকরি ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিল, অ্যালেনটাউন আধুনিকতার সাথে মোকাবিলা করছিল।
বেথেলহেম স্ট্রিটের ঝাঁপ বন্ধ হয়ে যায়। রেশমের কারখানার চাকরি শহর ছেড়ে চলে যায়। কারখানাগুলি একেক করে ডোমিনোর মতো ভেঙে পড়ে।
তাদের পতন হাজার হাজার মানুষকে বেকার করে তোলে এবং অ্যালেনটাউন এক দশক-ব্যাপী চাকরির মন্দায় ডুবে যায়।
কারখানার চাকরি ফুরিয়ে যাওয়া বিধ্বংসী অবস্থা। এর সম্পর্কে, সারা বেদনাদায়কভাবে সচেতন। কিন্তু তিনি কারখানার চাকরির নিজের ক্ষতিকারক প্রভাব সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল “আমার বাবা ধাতুপিন্ডের বিভাগে কাজ করতেন এবং এমনটি শোনা যায় যে তার শিফটের পরে, কারখানা থেকে বের হওয়ার আগে তিনি তার কভারঅল খুলে, স্নান করে করে একটি পরিষ্কার, সাদা শার্ট পরতেন। কিন্তু যেহেতু তার ত্বকের ছিদ্রগুলি ময়লা হওয়ার থেকে এত মলিন হয়ে যেত যে, তিনি বাড়ি ফেরা পর্যন্ত তার শার্ট তার ঘামে ভিজে গিয়ে কাঠকয়লার মতো ধূসর রঙের হয়ে যেত। এর থেকেই বোঝা যায় এই কাজটি কতটা অনিরাপদ এবং এটি মেশিন দিয়েই সম্পন্ন করা উচিত—কিন্তু মানুষ এবং মেশিন তো একসাথে কাজ করতে পারে না। ময়লা, বিপজ্জনক ও একঘেয়ে কাজ মেশিনগুলি করতে পারে এবং কর্মীদের উচ্চ মানের, নিরাপদ কাজ করানোর জন্য আপস্কিল করা যেতে পারে।”
এটি কেন কার্যকর ও ন্যায্য হতে পারে না? আমি সেই ধরনের কাজই চিরকাল করতে আগ্রহী।
প্রত্যেকেই একটি ন্যায্য সুযোগের অধিকারী
সারা শিল্পের ডিজাইন নিয়ে পড়াশোনা করা, বিজনেস স্কুলে যাওয়া এবং প্রস্তুতকারকদের ডিজিটালভাবে সাহায্যকারী হতে থাকে। প্রযুক্তি গড়ে তোলার সাথে সাথে, অ্যালেনটাউনের পরিত্যক্ত কারখানাগুলির ছায়া তার মনে দীর্ঘতর হতে থাকে। “আমি সবসময়ই জানতাম যে স্বয়ংক্রিয়তা একটি অন্যায্য সুবিধা”। এটি আরও নিরাপদ, এর খরচ কম এবং এটি কখনও ধর্মঘট করবে বা না বলে ছুটি নেবে না। তাই, আমার মনে হয়েছিল আমার এগিয়ে এসে বলা দরকার যে, “আসুন নিশ্চিত করা যাক যে প্রযুক্তি আরও ভালো হওয়ার সাথে সাথে, মানুষদেরও যেন পেছনে ফেলে রাখা না হয়— যেকোনো একটা না হয়ে বরং ‘উভয়েই এবং’ হতে পারে। কারণ প্রত্যেকেই একটি ন্যায্য সুযোগের অধিকারী।”
2016 সালে, তিনি এই ন্যায্যতার জন্য লড়াই করতে Shimmy Technologies তৈরি করেন। Shimmy হল একটি উদ্ভাবনী, শিক্ষা-প্রযুক্তি কোম্পানি যা পোশাক কর্মীদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা বিকাশ (যাকে “আপস্কিলিং” বলা হয়) প্রদান করে যাতে তারা অনেকগুলি মেশিন চালাতে শিখতে পারেন এবং নতুন, স্বয়ংক্রিয় মেশিনগুলিতে কাজ করার জন্য তাদের প্রয়োজনীয় ডিজিটাল স্বাক্ষরতা অর্জন করতে পারেন।কর্মীরা Shimmy-এর অ্যাপে বাইট-আকারের, ডিজিটাল টিউটোরিয়াল নেন, যেখানে তারা মেশিন চালানো, পরিভাষা, কৌশল ও মেশিনের যত্ন নেওয়ার মতো জিনিসগুলি শেখেন।
Shimmy প্রথম চালু করতে, সারা বাংলাদেশে কর্মশক্তি থেকে বিলীন হয়ে যাওয়ার বৃহত্তম ঝুঁকিতে থাকা মহিলা পোশাক কর্মীদের কাছে যান।

সারা ক্রাসলি এবং রুমা আখতার ঢাকা, বাংলাদেশে

Shimmy-এর ডিজিটাল টিউটোরিয়াল

একটি দলবদ্ধ প্রশিক্ষণ সেশনে Shimmy-এর শিক্ষার্থীরা
পুনঃ-দক্ষতা প্রদান এবং দক্ষ
একটি অত্যন্ত অলঙ্কৃত কারুকাজ করা বিয়ের পোশাকের কথা ভাবুন। অথবা রঙে ফেটে পড়া একটি আঁকাবাঁকা নকশা কাটা শার্ট। বহু বছরের অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে, একজন ব্যক্তি সেই পোশাকগুলি তৈরি করেছেন। সারা ব্যাখ্যা করেন: “আমাদের পোশাক যারা তৈরি করেন তারা অত্যন্ত দক্ষ। তাই, কেন আমরা সেই জন্মগত ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের আপস্কিল এবং পুনঃ-দক্ষতা প্রদান করব না?”
Shimmy-এর প্রশিক্ষণ পাওয়া বহু মহিলার গতানুগতিক শিক্ষা অর্জনের সুযোগ হয়নি। Shimmy-এর প্রযুক্তিগত দক্ষতা প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সময়ই তারা প্রায়ই প্রথমবার একটি কম্পিউটার ব্যবহার করেন। Shimmy-এর প্রশিক্ষক এবং ব্যবহারকারী সমর্থনকারীদের নির্দেশিকার সাথে, কর্মীরা কীভাবে একটি Microsoft সারফেস গো ট্যাবলেটে অ্যাপে ন্যাভিগেট করতে হয় তা শেখেন। প্রশিক্ষণটি ডিজিটাল গেম ও ক্যুইজ ব্যবহার করে এবং শিক্ষা লাভে এবং শিক্ষার্থীদের ছেড়ে না যেতে উৎসাহিত করার জন্য TikTok ভিডিওর মাধ্যমে ফলো আপ করে।
আমার মনে হয়েছিল আমিও যেকোনো পুরুষের মতো একই দক্ষতা শিখতে পারি এবং একই পদোন্নতি অর্জন করতে পারি।
সারার জন্য, একটি প্রযুক্তিগত অংশীদার হিসেবে Microsoft একেবারে সঠিক অর্থবহ। সংস্থাগুলির সকলের জন্য একটি আরও ভালো, আরও ন্যায্য ভবিষ্যতে ক্ষমতায়ন করার জন্য উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ব্যবহার করার অনুরূপ মিশন রয়েছে। এবং তারা মৌলিক অধিকার এবং অন্তর্ভুক্তিকর অর্থনৈতিক বৃদ্ধি সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় মূল্যবোধও শেয়ার করে। তারা জানে যে বিশ্বকে সফল হতে গেলে, সবচেয়ে অনগ্রসরদের সফল হতে হবে। এবং এই সাফল্য ডিজিটাল দক্ষতা ও চাকরির সুযোগে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি করার উপর নির্ভর করে।
2025 সালের মধ্যে, Microsoft বঞ্চিত সম্প্রদায়গুলি থেকে চাহিদায় থাকা ডিজিটাল দক্ষতার সাথে 10 মিলিয়ন মানুষকে প্রশিক্ষণ দিতে এবং প্রত্যয়িত করতে সাহায্য করার অঙ্গীকার নিয়েছে। সারা যেমনভাবে তাদের অংশীদারিত্বকে দেখেন সেই অনুযায়ী, “আমাদের কাজকে যে মূল দর্শন চালিত করে সেটি হল প্রযুক্তিবিদ হিসেবে আমাদের ভবিষ্যতের কাজে কিছু বলার সুযোগ আছে। স্বয়ংক্রিয়তা শুধুমাত্র প্রযুক্তির অস্তিত্ব থাকার কারণেই চাকরি হারানোর জন্য একটি পূর্বসিদ্ধান্ত নয়। একে যেন একটি মৃত্যদণ্ড হিসেবে দেখা না হয়, যতক্ষণ পর্যন্ত বিবেকবুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তিরা একটি জোরালো বিজনেস কেসে সেই বদলের পাশাপাশি শ্রমকেও সর্বাধিক উন্নত করার উপায়গুলি খুঁজে চলেছেন। এটি কেন কার্যকর ও ন্যায্য হতে পারে না? আমি সেই ধরনের কাজই চিরকাল করতে আগ্রহী।”
Shimmy অনেকগুলি ভাষায় ব্যক্তিগতকৃত প্রশিক্ষণ অফার করে। Microsoft Azure-এর বিশ্বব্যাপী নাগালের সাথে, তারা তাদের কর্মসূচিগুলিকে সারা বিশ্ব জুড়ে যেকোনো সম্ভাব্য প্রশিক্ষক এবং প্রশিক্ষণকারীদের জন্য উঁচুতে নিয়ে যেতে পারবেন। এখনও পর্যন্ত, Shimmy আমেরিকা, বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়াতে সফটওয়্যারটি প্রথমে চালু করেছে, এবং বর্তমানে 2023 সালে 9,000 কর্মীদের সীমায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছে।

রুমা এবং তার সঙ্গী প্রশিক্ষকরা প্রশিক্ষণ দিয়েছেন
2,125 জনেরও বেশি মহিলাকে
2023 সালে, Shimmy-এর লক্ষ্য হল
9,000 জন কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া
একজন মহিলা-চালিত ভবিষ্যৎ
স্বয়ংক্রিয়তা সম্পর্কে রুমার প্রারম্ভিক আশঙ্কা সত্ত্বেও, তিনি একটি Shimmy আপস্কিলিং পাঠ্যক্রমে নথিভুক্ত করেন এবং একটি ট্যাবলেট চালাতে শেখেন। “প্রথমে, আমি নার্ভাস ছিলাম—আমি কখনও এর আগে একটি ট্যাবলেট ছুঁয়ে দেখিনি। কিন্তু, অ্যাপটি ব্যবহার করার পরে, আমার উদ্বেগ দ্রুত চলে যায়। আমি আরও শিখতে চেয়েছিলাম!” তার কৌতুহল আত্মবিশ্বাসে প্রস্ফুটিত হয়। রুমা আগে না চলা নতুন পথে যাওয়ার সাথে সাথে তার আত্মবিশ্বাস সুযোগে প্রস্ফুটিত হয়।
সেইসব পথগুলির একটি? নিজে একজন Shimmy প্রশিক্ষক হয়ে ওঠা। “আমার কারখানায় স্বয়ংক্রিয় মেশিনগুলি ঢোকার সময়, আমি পেছনে রয়ে যেতে চাইনি। আর আমি বুঝেছিলাম যে একই জিনিস মনে করা অন্যদেরও সাহায্য করার জন্য এটা একটা দারুণ সুযোগ। আমরা পোশাক শিল্পের ভবিষ্যৎ হতে পারি।”
রুমা এবং তার সঙ্গী প্রশিক্ষকরা আজ পর্যন্ত 2,125 জনেরও বেশি ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। রুমার মতো, তার বহু প্রশিক্ষণার্থীও তাদের প্রথম দিন আবেগের এক ঘূর্ণিঝড়ের অনুভুতিতে প্রবেশ করেন। কীভাবে আপনি অ্যাপ ব্যবহার করে পোশাক তৈরি করতে পারেন? আমি কী ট্যাবলেট ব্যবহার করতে পারব? মহিলারা কী আদৌ সুপারভাইজার হতে পারে? তার উৎসাহের সাথে এই ভীতিগুলি বিলীন হয়ে যায়। “তারা বুঝতে পারে যে তারা এক জায়গায় আটকে নেই। এবং যে, একজন পুরুষ যদি একজন লিড সুপারভাইজার হতে পারে, তাহলে তারাও হতে পারবে! তারা আরও ভালো ভূমিকায় পদক্ষেপ নিতে উচ্চাকাঙ্খা নতুনভাবে গড়ে তোলে।”
রুমার বহু শিক্ষার্থী বেশি মাইনে এবং পদোন্নতি পেয়েছেন, যা তাকে আনন্দে পরিপূর্ণ করেছে। বেশি বেতনের মানে এই নয় যে তারা কেবল আজই ভালো থাকবেন, বরং তা ভবিষ্যতের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। “আমার মেয়ের বয়স সাত। Shimmy-এর সাথে আমার সুযোগ আমাকে তার বর্তমান আর ভবিষ্যতের শিক্ষার খরচ যোগাতে দেয়। আর আমি আমার বাবা-মা ও ছোট ভাইয়েরও দেখাশোনা করতে পারি। এটি আমার পুরো পরিবারের জন্য অসাধারণ ব্যাপার,” বলেছেন রুমা।
রুমা আরও মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং অতিরিক্ত সফটওয়্যারকে আয়ত্তে আনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি মনে করেন বাংলাদেশ ক্ষমতায়নের একটি যুগে প্রবেশ করছে। এমন এক যুগ যেখানে কারখানার কর্মীরা ভবিষ্যতের ডিজিটাল দক্ষতাগুলিকে আলিঙ্গন করতে পারে। এবং যেখানে মহিলারা নেত্রী হতে পারেন এবং নিজেদের জন্য সমৃদ্ধশালী জীবন তৈরী করতে পারে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে।
“আমরা একসাথে উন্নত হওয়া চালিয়ে যাব, সবসময় সামনের দিকে এগিয়ে গিয়ে। শিক্ষার কোনো শেষ নেই।”

Shimmy Technologies বিশ্বের অগ্রণী কোম্পানিগুলিকে উদ্ভাবনী, চিন্তা করে ডিজাইন করা প্রযুক্তির সাথে মানুষ ও মেশিনের মধ্যে কাজকে সর্বাধিক উন্নত করতে সাহায্য করে। 2016 সালে সারা ক্রাসলির দ্বারা প্রতিষ্ঠিত, এই মহিলা-চালিত, শিক্ষা প্রযুক্তি কোম্পানিটি 2,125 জনের বেশি মানুষকে প্রশিক্ষিত করেছে। ক্লায়েন্টদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত H&M, VF Foundation এবং Zalando। Shimmy MIT Solve, Acumen ফান্ডের CivicX ভবিষ্যতের কাজের অ্যাক্সিলারেটার, এবং নিউ ইয়র্ক ফ্যাশন টেক ল্যাবের একজন স্নাতক। সারা Shimmy ডিজিটাল প্রশিক্ষণ টিউটোরিয়াল নেওয়া হেডফোন পরা দুইজন মহিলার তদারকি করতে করতে একটি ট্যাবলেটের স্ক্রিনের দিকে দেখাচ্ছেন।
Microsoft Unlocked
Stories from the heart & soul of innovation
Subscribe to monthly tech news on LinkedIn